শিউলিমালা একাডেমি

Shiulimala

উসূলশাস্ত্রের গুরুত্ব এবং হাল আমলে উসূলের প্রয়োজনীয়তা

জ্ঞানের প্রতিটি শাখাকে ধারাবাহিকতা দানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উসূল। এই উসূলের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। তবে আমাদের পরিচিত উসূলের সাথে মূল উসূলের তফাৎ অনেক। সাধারণত, উসূলকে আমরা দ্বীনি জ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে জেনে থাকি এবং ফিকহ সম্পর্কিত বিষয়গুলোর সাথে সম্পৃক্ত রেখে তাকে পাঠ করে থাকি। প্রশ্ন হলো, উসূল কি শুধু সামান্য জানাশোনা জ্ঞানার্জনের মধ্যেই […]

সামাজিক গঠনের মজবুতিকরণ

ইসলামী সভ্যতার মৌলিক ভিত্তি হলো সমাজ। আমাদের সমাজ যত বেশি শক্তিশালী হবে, আমাদের ভিত এবং সভ্যতাও ততো বেশি শক্তিশালী হবে। শক্তিশালী হওয়া বলতে শুধুমাত্র বাহ্যিক বা বস্তুগত দিক থেকে শক্তিশালী হওয়া নয়; বরং আধ্যাত্মিক দিক থেকেও শক্তিশালী হওয়াকে বুঝায়। আখলাকসম্পন্ন একটি সমাজ গঠন এবং আমাদের সামাজিক গঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় প্রয়োজন সেগুলো

ইবনে খালদুন ও তার রাষ্ট্র সমাজভাবনা

আরবের বিখ্যাত দার্শনিক ইবনে খালদুনকে বলা হয় সমাজবিজ্ঞানের অনানুষ্ঠানিক জনক। পাশ্চাত্যে যখন সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসতত্ত্বের সূচনা হয়নি, এর আগেই তিনি তাঁর লেখনীতে এ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। খালদুনের পুরো নাম ওয়ালি উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ। তিনি তিউনিসে আরব বংশোদ্ভূত আন্দালুসিয়ান এক অভিজাত পরিবারে ১৩৩২ সালের ২৭ মে (৭৩২ হিজরির পহেলা রমজান) জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠা

ইতিহাসের বহমান ধারায় মুসলিম নারীদের সামাজিক জীবন

সৃষ্টির প্রথম মানবযুগল আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) থেকে শুরু করে যুগে যুগে নারীকে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে সুমহান বার্তা, খিলাফত ও ইমারতের দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়কে আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদায় আসীন করেছে যে ইলাহী নূর, তার নাম ইসলাম। ইসলামে মর্যাদার দিক দিয়ে পুরুষের থেকে একজন নারীকে কখনোই ভিন্ন করে দেখা হয়নি। বরং নারীকে

মাহে রমজানের তাৎপর্য ও আমাদের করণীয়

বছরের বারোটি মাসের মাঝে গোটা একটি মাস রোজা পালন করা আল্লাহ তায়া’লা ফরজ করে দিয়েছেন তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়াবান হতে পারো”। রোজা শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই নয়, বরং মানব-শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ

ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা

জনাব মোহাম্মদ মার্মেডিউক পিকথলের জন্য ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে, ইংল্যান্ডের এক সম্ভ্রান্ত খৃষ্টান পরিবারে। বাল্যে ছ্যারো’তে এবং পরে ইউরোপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ সমাপ্ত করে জনাব পিকথল ৩ বৎসর কাল নিকট-প্রাচ্যের কতিপয় দেশে অবস্থান করেন। এ সময়েই তিনি ইসলামী জীবন-বিধানের মাহাত্মো আকৃষ্ট হন। লেবানন পর্বতের দ্রুজ অঞ্চলেও তিনি এক বৎসরকাল অতিবাহিত করেন। ১৯২০ থেকে ১৯২৪ সাল

ইসলাম ও সভ্যতা

“সেই হাজার বৎসর পূর্বে যখন মানুষ তাঁবুতে বাস করত, সেই যুগে কি তোমরা আমাদের ফিরে যেতে বল? মরুভূমির সেই বন্য ও অসভ্য বেদুঈনদের জন্য ইসলাম ঠিকই ছিল, কারণ এটা এমন একটা সহজ ধর্ম ছিল, যা তাদের কাছে মনোমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় লাগত। কিন্তু আজকের দুনিয়ার সুপারসনিক প্লেন, হাইড্রোজেন বোমা ও চলচ্চিত্রের যুগে কি আল্লাহর ধারণার ভিত্তিতে

“বাঙ্গালা সাহিত্য ও বাঙ্গালী মুসলমান”

বাঙ্গালা ভাষার চর্চা আমাদের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য অপরিহার্য। তবে মাতৃভাষা আমাদের হাতে কি রূপ পরিগ্রহণ করবে তা নিয়ে মতভেদ দেখতে পাওয়া যায়। এ সমস্যার সমাধান “আমরা বাঙ্গালী মুসলমান” এই কথাটুকুর মধ্যেই রয়েছে। কোটি কোটি মানুষের স্বাভাবিক ভাষা যদি একটা সাহিত্যের বাহন না হয়, তা হলে কোন ভাষা যে, সে গৌরবের অধিকারী তা বলতে পারি না।

“রক্তঝরা মসলা বাণিজ্য ও তার ইতিহাস”

আচ্ছা ভেবে দেখুন তো আপনি রান্না করছেন, কিন্তু আপনার কাছে কোনো মসলা নেই। আপনার রান্নায় কোনো মশলাই যুক্ত করতে পারছেন না। তাহলে কেমন হবে? কোনো স্বাদ পাবেন? তখন কি মনে হবে না যে এভাবে কি রান্না হয়!? খাওয়া যায় এগুলো!? নিপাট ভদ্রলোক সেজে আপন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কত লোক কত দেশে আসে। অতঃপর দখল নেয়,

আমাদের ভাষা-সমস্যা

আমরা বঙ্গদেশবাসী। আমাদের কথাবার্তার, ভয়-ভালবাসার, চিন্তা-কল্পনার ভাষা বাংলা। তাই আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। দুঃখের বিষয়, জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধের ন্যায় এই সোজা কথাটিকেও আমাদের মধ্যে এক সম্প্রদায়কে বুঝাইয়া দিলেও তাঁহারা জোর করিয়া বুঝিতে চাহেন না। তাই মাঝে-মধ্যে আমাদের মাতৃভাষা কী কিংবা কী হইবে, তাহার আলোচনা সাময়িক পত্রিকাদিতে দেখিতে পাওয়া যায়। হা! আমাদের সূক্ষ্ম বুদ্ধি! মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন