শিউলিমালা একাডেমি

Shiulimala

বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থা ও ভারতীয় বাঁধ

একাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। একসময় সেসব নদীকে ঘিরে কত গল্প-কল্পকাহিনী শোনা যেত দাদি-নানীদের মুখে! কী ছিল তার রূপ, কী ছিল তার স্রোত—কোনো এক অতীতে–বর্ষাকালে। এখন বর্ষাকালে পানি থাকলেও শীতকালে প্রায় পুরোটাই যেন ধানক্ষেত। নদীর পেটের মধ্যে সামান্য এক ধার ঘেঁষে মৃদুস্রোত বয়, নৌকা চলে— যেখানে বাংলার চিরাচরিত রূপ ছিল নদীময়, […]

হযরত আয়েশা (রা.) এর ইলমী হায়াত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সালাম এবং দরূদ মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ (সা.) -এর প্রতি। এই প্রবন্ধে আমি কেবল উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা.)-এর গতানুগতিক জীবনচরিত নিয়ে নয়, বরং তাঁর জ্ঞানগত যে জীবনী, তিনি কীভাবে জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং এজন্য কীভাবে তাঁর জীবনকে অতিবাহিত করেছেন, সেসব নিয়ে আলোকপাত করব। আয়েশা (রা.) পিতা আবু বকর (রা.) এর ঔরসে এবং

সভ্যতার প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী

আসসালামু আলাইকুম আজ আমি আপনাদের সাথে এখানে একত্রিত হতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। আপনাদেরকে পবিত্র জুমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং বরকতময় জুমার দিন কামনা করছি। পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি রমজানের। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের রমজান মাস এবং ঈদে বরকত দান করুন। আজ আমি এখানে আমন্ত্রিত হয়েছি ‘সভ্যতার প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী’ নিয়ে কথা বলার জন্য। আমি এমন একটি

শিউলিমালা একাডেমির মুখপত্র ষাণ্মাসিক “শিউলিমালা” ৩য় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন

শিউলিমালা একাডেমির প্রেসিডেন্ট মুহসিনা বিনতি মুসলিমের সভাপতিত্বে মোড়ক উন্মোচনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ষাণ্মাসিক শিউলিমালার সম্পাদক জান্নাত আরা তাবাসসুম, শিউলিমালা একাডেমির ভাইস প্রেসিডেন্ট নাফিসা নাজমী, মিমি বিনতে ওয়ালিদ ও নাজিয়া তাসনিম এবং সেক্রেটারিয়েট বডির সদস্য সাবিহা আক্তার শুচি। এছাড়াও অনুভূতি মূলক বক্তব্য রাখেন একাডেমির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জেবা ফারিহা। সভাপতির বক্তব্য রাখেন সম্মানিত প্রেসিডেন্ট মুহসিনা বিনতি

শিউলিমালা একাডেমির প্রথম সমাবর্তন

“মননে মুক্তির সৌরভ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান শিউলিমালা একাডেমির ১ম সমাবর্তন ১৬ মার্চ, ২০২৩ এ ঢাকার একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিউলিমালা একাডেমির কার্য-নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সমাবর্তনের সভাপতিত্ব করেন শিউলিমালা একাডেমির সম্মানিত প্রেসিডেন্ট মুহসিনা বিনতি মুসলিম। সমাবর্তনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিউলিমালা একাডেমির সম্মানিত সেক্রেটারি নওরীন নবী, ভাইস

“তোমাকেই বলছি, হে আমার কুদস”

তোমার ক্লান্ত চোখ আমায় ঘুমোতে দেয় না,তোমার বিষণ্ণ রোদমাখা মিনারগুলো ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তোলে নিউরনে, সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণকারী বর্ণমালা।পরিযায়ী কবুতরেরা যখন ফিরে যায় তোমার প্রাঙ্গণ থেকে, আর এক মুঠো শান্তির জন্য হাহাকার করে উঠে তোমার পথ-প্রান্তর,আমি আধ-ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করে বলে উঠি, “ইন্তিফাদা!” হে কুদস! আমার শহর!রৌদ্রছায়ার মরুদ্যানের নগরী!শত রাসূলের পদধূলি জড়ানো পথের ঘুমহীন প্রহরী!হে আমার

বাবা আদম মসজিদ

সুলতানি আমলের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী গায়ে জড়িয়ে বাংলার মাটিতে দীর্ঘ ৫৩৮ বছর যাবত সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে বাবা আদম মসজিদ। ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী মুন্সিগঞ্জের দরগাবাড়ীতে এই মসজিদের অবস্থান। মসজিদটির নামের সাথে জড়িয়ে আছে দীর্ঘ এক ইতিহাস। সেই ইতিহাসের মাঝে সত্যতা ও জনশ্রুতি মিলিয়ে যা পাওয়া যায় তা অনেকটা এরকম- বাবা আদম ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক। ১০৯৯ সালে

বুলন্দ দরওয়াজা

বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রবেশদ্বার এবং ভারতের অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নাম বুলন্দ দরওয়াজা। মুঘল সম্রাট আকবর গুজরাট বিজয় অভিযান স্মরণীয় করে রাখতে ১৬০১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ফতেহপুর সিকরিতে এটি অবস্থিত। আগ্রা থেকে ৪৩ কিমি দূরে অবস্থিত ফতেপুর সিক্রি মহলের প্রবেশের এটিই মূল দ্বার। বুলন্দ দরওয়াজা মুঘল স্থাপত্যের একটি বিস্ময়কর উদাহরণ। এটি লাল

ষাট গম্বুজ মসজিদ

ভারতীয় উপমহাদেশের অনন্য স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন- মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভ গুলোর মধ্যে অন্যতম সুলতানি আমলের ‘ষাটগম্বুজ’ মসজিদ। যার অবস্থান বাগেরহাট জেলা থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে খুলনা -বাগেরহাট মহাসড়কের উত্তর পাশে সুন্দরঘোনা গ্রামে। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কে, কখন, কীভাবে নির্মাণ করেছে সে সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা পাওয়া যায় না। তবে কথিত আছে যে, চৌদ্দশ খ্রিষ্টাব্দের

সেলিমা সুলতানা বেগম: যুগের খাদিজা

তেজহীন রোদেলা দুপুর। চারপাশে ভাতঘুমের নিরবতা। বাগানের শেষ মাথায় কিছু কোকিল পাখি ক্লান্তিহীন ভাবে ডেকে যাচ্ছে। দখিনা মৃদু হাওয়ায়, জানালার পর্দা খানিকটা সরে গেল। মিষ্টি রোদ এসে পড়লো গুলরুখ বেগমের মুখে। তেজহীন এই রোদ গুলরুখ বেগমের কাছে বড় আরামের। আলতো হাতে পর্দাটা সরিয়ে মুখ বাড়ালেন বাইরে। সময়টা ১৫৩৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী। শীত শেষে বসন্তের ছোঁয়া