শিউলিমালা একাডেমি

Shiulimala

বি আম্মা: ভারতীয় মুসলিম নারীদের এক পথিকৃৎ

আবাদি বানু বেগম, একজন মুসলিম নারী, যিনি এই উপমহাদেশের সচেতন নারীদের বিশেষত, মুসলিম নারীদের জন্য এক উজ্জ্বল উপমা। তিনি এমন একজন নারী, যিনি ছিলেন খেলাফত আন্দোলন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন নেত্রী। যদিও, আরও অনেক ব্রিটিশ বিরোধী মুসলিম মহানায়কদের মতো তার ইতিহাসও আমাদের থেকে আড়ালেই রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নারীকর্মী হিসেবে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এ […]

“লাল কেল্লা”

ইতিহাস ও অনিন্দ্যসুন্দর স্থাপত্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন রেড ফোর্ট বা লালকেল্লা। খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত এ দুর্গটি ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। পুরনো দিল্লির যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই দুর্গটি মুঘল স্থাপত্য এবং চিত্রকলার উৎকর্ষতার এক অনন্য উদাহরণ। বৈচিত্র্যময় অলংকরণ আর বর্ণময় শৈল্পিক ব্যঞ্জনা কেল্লাটিকে দিয়েছে এক

“ইসলামী সভ্যতায় নারী”

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আমাদেরকে শূন্য থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং সে সম্পর্কে আমাদেরকে জ্ঞান দান করেছেন। দরূদ ও সালাম মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি।বাংলাদেশের সে সকল বোনদের প্রতি আমার সালাম এবং শুভেচ্ছা, যারা আগামীর সুন্দর একটি পৃথিবী বিনির্মাণ এবং সুন্দর একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আজ একত্রিত হয়ে এ মহান উদ্যোগ গ্রহণ

নাসির-উল-মুলক মসজিদ : রঙের এক অপূর্ব সমন্বয়

দক্ষিণ ইরানের সর্বাধিক সুন্দর স্থাপত্যের এক অনুপম নমুনা নাসির-উল-মুলক মসজিদ। এর প্রতিটি কোণ, প্রতিটি অংশ যেন শিল্পীর নিখুঁত আচড়ে আঁকা! ইরানের ঐতিহ্যবাহী শহর শিরাজের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থাপনা এটি। দাগকাটা কাচের জানালার জন্য সৃষ্ট রঙিন আলোর কারণেই মসজিদটি সবার কাছে এত সমাদৃত। দক্ষিণ ইরানের সবচেয়ে সুন্দর শহরের একটি হলো ‘শিরাজ’। অসংখ্য পর্যটক প্রতিবছর এখানে বেড়াতে আসেন।

“আত্মকথা”

আমি কি একটু বেশিই উচ্চাভিলাষী?জানি না!‘উচ্চাভিলাষী’ বলছি, কারণ আমি যে ‘কনজার্ভেটিভ মুসলিম বাঙ্গালী পরিবার’ এর মেয়ে! এ পরিবার, এ পরিবেশ নানাবিধ কঠোরতায় আবৃত। নিজের ছোটখাটো ইচ্ছেগুলোর কথা প্রকাশ করতেও এখানে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়! নানা রকম কৌশল, ছলচাতুরিসহ সোজা বাংলায় বললে যাবতীয় দুই নম্বর পন্থা অবলম্বন করে একটু করুণার দৃষ্টিতে পড়লেই হয়তো তার কিছুটা আদায়

“জ্ঞানের তাওহীদ, আখলাক ও ইরফান; প্রেক্ষিতে মানবতার মুক্তি সংগ্রাম”

মানবতার মুক্তির সফরে জ্ঞান ও সংগ্রাম একে অপরের পরিপূরক, কোনটিই একা পরিপূর্ণ নয়। তবে জ্ঞান অর্জন কেন করবো সেটা ভালোভাবে বুঝা বর্তমান সময়ে আবশ্যকীয় ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতি শতাব্দীতে যদি আমরা দেখি, ইসলামের আলেমগন সেই শতাব্দীকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন এবং এই সংজ্ঞায়নের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু শব্দ বা পরিভাষার সৃষ্টি করেছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

“ইসলামে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন”

সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার নিয়ে আমরা বিভিন্ন কথা শুনে থাকি। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বর্তমানে যে কথাগুলো বলা হয়, তার মধ্যে বেশ কিছু গ্রহণযোগ্য, আবার কিছু কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ আছে। নারী-পুরুষ সবারই অধিকার প্রতিষ্ঠা হওয়া অপরিহার্য, কারণ সমাজ দিনে দিনে সামনে এগোচ্ছে। শুধু নারী বা পুরুষেরই নয়, সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত

ভাষা নিয়ে ভাবনা ও ভাষার রাজনীতি

রাজনৈতিক চিন্তা আর ইতিহাসকে পরিবর্তন করতে হলে, ভাষার পরিবর্তন আবশ্যক। আবার ইতিহাস এবং বর্তমান দুনিয়াকে জানতে হলে, রাজনৈতিক পরিভাষাকে বুঝতে হয়, কীভাবে সেই পরিভাষা তৈরি হলো সেটাও জানতে হয়। কারণ ভাষা শুধুমাত্র মৌখিক আলাপের বাহন নয়, বরং একইসাথে চিন্তার মাধ্যম ও নিজস্ব বোধ, দর্শনের প্রতিফলন। কেননা, ভাষার একটা রূহ থাকে। সে ভাষা মূলত বাস্তবকে তৈরি

আগামীর সভ্যতা বিনির্মাণে “ক্বিবলাগাহী ঘর”

আগামীর সভ্যতা বিনির্মাণে “ক্বিবলাগাহী ঘর” চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার! বিপন্ন আজ মানবতা! জুলুম, অত্যাচার, হাহাকারে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো পৃথিবী! মুক্তির দিশা কোথায়, কেউ জানেনা! সবাই এক ভয়ংকর হতাশায় আচ্ছন্ন! বর্তমান বাংলাদেশও এই অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূখণ্ডের-ই প্রতীক! তবে, এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও আশার বাতিঘর হিসেবে দেখা যাচ্ছে, আগামীর ‘ক্বিবলাগাহী ঘরগুলোকে’। দিনশেষে সূর্যের শেষ আলোকরশ্মির সাথে রাত্রির মিলন যেমন

শিউলিমালা একাডেমির উদ্যোগে “আমাদের পরিবারকে লালনকারী মূল্যবোধসমূহ” বিষয়ে বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত

আপনাদের আন্তরিক দোয়া ও ভালবাসায় শিউলিমালা একাডেমির একাডেমিক কার্যক্রমগুলো অর্থাৎ  নিয়মিত ক্লাস, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে, আলহামদুলিল্লাহ্‌। সে ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো আমাদের বিশেষ সেমিনার। এবারের বিশেষ সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম ও মুফাসসির শ্রদ্ধেয় “ড. খাদিজা গরমেজ”।  অনুবাদ তুলে ধরেন গবেষক ও চিন্তক শ্রদ্ধেয় বুরহান উদ্দিন।