শিউলিমালা একাডেমি

শিল্পকলা

‘ফিলিস্তিন’

উম্মাহর মুক্তির প্রতীক হয়ে ওঠা ফিলিস্তিনের প্রাণকেন্দ্র ও ঐতিহ্যের মিশেলে ফিলিস্তিনের চার রঙা জাতীয় পতাকা! কালো : ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয় ও প্রতিরোধের প্রতীক সাদা-কালো কেফিয়্যাহ (স্কার্ফ)।সাদা : সাদার মাঝে স্বর্নালী-হলুদ গম্বুজের মসজিদুল আকসা।সবুজ : শান্তির প্রতীক জয়তুন গাছ।লাল : ফিলিস্তিনের ঐতিহ্যবাহী এমব্রয়ডারি কাজ ‘তারতিজ’। চিত্রকর : মাহবুবা রহমান তাবাসসুমসদস্য,শিল্পকলা বিভাগ, শিউলিমালা একাডেমি

‘আল কুদস’

হে আমার কুদস!আমি জানি, আমি খুব জানি, খুন রাঙা সরোবরের নিচে তুমি লুকিয়ে রেখেছো এক চাপা কান্নার নির্ঝরিণী!এ কান্না একাকীত্বের, অসহায়ত্বের;প্রশান্তির ঘুমপুরীতে একলা জাগরণের দুঃস্বপ্নে কুঁকড়ে যাওয়া অনুভবের, ছিনতাই হয়ে যাওয়া মুক্ত বাতাসে ডানা মেলা বৈভবের… চিত্রকর: তাহসিনা মাহফিসদস্য,শিল্পকলা বিভাগ,শিউলিমালা একাডেমি

‘মদিনা’

“তোমার নামে একি নেশা হে প্রিয় হজরত।যত চাহি তত কাঁদি, আমার মেটে না হসরত।কোথায় আরব কোথায় এ হিন্দ্নয়নে মোর নাই তবু নিন্দপ্রাণে শুধু জাগে (তোমার) মদিনার ঐ পথ।কে বলে তুমি গেছ চলে হাজার বছর আগেআছ লুকিয়ে তুমি প্রিয়তম আমার অনুরাগে।” আর্ট: রাহিমা রিমাআর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবশিউলিমালা একাডেমি

তেজহিপ শিল্প

ইসলামী চিত্রশিল্পের এক অন্যতম শাখা হলো তেজহিপ, যা মূলত পবিত্র গ্রন্থ ও পাণ্ডুলিপির অলংকরণের জন্য ব্যবহৃত হত। তুর্কি ভাষায় “তেজহিপ” শব্দের অর্থ “সোনালি করা” বা “সোনার প্রলেপ লাগানো”, যা এই শিল্পের মূল বৈশিষ্ট্যকে প্রতিফলিত করে।তেজহিপের মাধ্যমে কুরআন, হাদিস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলো সজ্জিত করা হতো। উসমানীয় সাম্রাজ্যে তেজহিপ শুধু পাণ্ডুলিপি অলংকরণেই সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি

‘মদীনা শহর’

রাসুলুল্লাহ (স) মদীনায় প্রবেশ করেই প্রথমে যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন,তা হলো:১. মসজিদ প্রতিষ্ঠা২. বাজার প্রতিষ্ঠা৩. ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠামদীনায় ‘মসজিদে নববী’ হলো রাসুলের (স.) এর প্রতিষ্ঠিত সভ্যতার নুকতা।এই মসজিদকে কেন্দ্র করেই সেখানে মদীনা নামক শহর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকেই রাসুলের (স.) সাহাবীরা ছড়িয়ে পড়েছেন দিক-দিগন্তে।পৌঁছে দিয়েছেন শান্তির বাণী, আর প্রতিষ্ঠা করেছেন বড় বড় সব

‘ক্যালিগ্রাফি’

আল্লাহর সাথে মানুষের সম্পর্ক নিরুপণকারী একটি হরফ আলিফ। এই সম্পর্ক হচ্ছে ইলাহী বাস্তবতার সাথে একটি কার্যকর সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা যা মানুষের জীবনপ্রবাহ ও আল্লাহর অনন্য ব্যবস্থার মাঝে এমন সম্পর্ক তৈরি করে; যাতে মানুষের প্রত্যয় ও কর্ম, তাঁর জীবনের লক্ষ্য ও বিশ্বজগতের লক্ষ্যের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এক নিবিড় ঐক্য; মজবুত সংহতি। আল্লাহর সাথে বান্দার এ সম্পর্কে

‘ক্যালিগ্রাফি’

‘ইয়া আল্লাহ’ লেখা এবং চারপাশে ইসলামিক ইল্যুমিনেশন প্যাটার্ন আর্টে ডিজাইনকৃত ক্যালিগ্রাফি। আর্ট: রাহিমা রিমা আর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি ক্লাবশিউলিমালা একাডেমি

‘তেযহিপ শিল্প’

উইঘুর, সেলজুক, উসমানীদের হাত ধরে মিশর, পারস্য, হেরাত, বুখারা, সমরকন্দে প্রসিদ্ধি অর্জনকারী এক শিল্প হচ্ছে ‘তেযহিপ’। ‘তেযহিপ’ এ মূলত ‘ইসলিমি’ ও ‘খাতে’ প্যাটার্নগুলোকে ‘গোল্ড’ আর ‘ল্যাপি’ দিয়ে ইল্যুমিনেট করা হয়। প্রকৃতির নানাবিধ সৌন্দর্য্যকে এসব প্যাটার্নে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয় এবং আল কোরআনসহ ইসলামের বিভিন্ন উদ্ধৃতি সুন্দর করে অঙ্কিত করার জন্য এই আর্ট ব্যবহার করা

‘দারসবাড়ি মসজিদ’

বাংলার মুসলিম ইতিহাসের চমকপ্রদ সংস্কৃতি এবং শৈল্পিক মানসের চিহ্ন বয়ে নিয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে দারসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাচীনকালে বিশেষত সুলতানি শাসনামলে স্থাপত্য বিদ্যার যে অপূর্ব উন্মেষ ঘটেছিল, এ মসজিদ এবং মাদ্রাসার ধ্বংসস্তুপের ভিত্তিভূমিই এর পরিচয় বহন করে। সে যুগেও স্থাপত্য শিল্পের প্রকৌশলগত দিক, সুনিপূণতার ছাপ বিদ্যমান এ স্থাপনাদ্বয়ে।