শিউলিমালা একাডেমি

বাংলাদেশ

সংকটকালীন পরিস্থিতিতে নারীদের ভিশন; প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের নারীদের সংকট নিয়ে ভাবতে ভাবতে ফাহমিদাকে জিজ্ঞেস করলাম, জীবনের লক্ষ্য কী? ফাহমিদা সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। জীবনের লক্ষ্য তার কাছে বয়ে যাওয়া স্রোতের মতো। কোনো লক্ষ্য বা পরিকল্পনা নেই, বা এটা থাকা যে গুরুত্বপূর্ণ, তাও যেন জানা নেই। জীবনকে নিয়ে এমন উপলব্ধি কি শুধু ফাহমিদার সাথেই ঘটছে? নারীদের সার্বিক অবস্থা চিন্তা করলে করলে দেখা […]

বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরের ইতিহাস ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে শত শত বছর ধরে চলে আশা সমুদ্র বাণিজ্য একটি দেশের প্রাণস্বরুপ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমুদ্র বন্দর সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়ার একটি উপকূলীয় দেশ, যার রয়েছে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল রেখা। এই ভৌগোলিক অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ তিনটি

নগরায়ন ও পরিবেশ; প্রেক্ষিতে ইসলামী সভ্যতা ও বর্তমান বাংলাদেশ

নগরায়ন একটি সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুপরিকল্পিত নগরায়ন ছাড়া কোনো সভ্যতায়ই টিকতে পারে না। মূলত, পরিকল্পিত নগরায়নই সভ্যতাকে পরিপূর্ণতা দান করে। আমরা ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই, বহু বছর ধরে টিকে থাকা সভ্যতাসমূহ তাদের নগরায়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। তারা তাদের নগরকে পরিকল্পিতভাবে সুন্দর করে সাজিয়েছে। নগরকে নাগরিকদের জন্য বালাদিল আমিন তথা নিরাপদ নগরী হিসেবে গড়ে তুলেছে।

‘সমকালীন সংকট, বিশ্বব্যবস্থা ও বাংলাদেশ; আমাদের মুক্তির ভাবনা’

 দক্ষিণ এশিয়ার পলল ভূমি খ্যাত- ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ক্ষুদ্র একটি দেশ, সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা দেশটির নাম- বাংলাদেশ। ছোট্ট অথচ প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ এ ভূখণ্ডে জনসংখ্যা প্রায় বিশ কোটি! বিগত কয়েক দশক ধরে অঘোষিতভাবে এদেশের অপর নাম যেনো হয়ে গিয়েছে সংকট! সংকট নিয়ে চিন্তা করতে গেলে মানুষের মাথায় যে সকল সাধারণ প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেগুলো

‘নবাব ফয়জুন্নেসা জামে মসজিদ’

ইসলামী সভ্যতার স্থাপনাসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মসজিদ। বিশ্বের যে প্রান্তেই মুসলমানরা গিয়েছে, সেখানেই তারা নামাজ ও সামাজিক যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে মসজিদ নির্মাণ করেছে। অধিকাংশ মসজিদই তৈরি হয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সে সময়ের স্থাপত্যশৈলীর উপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহও এসব স্থাপনার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। মসজিদের মিনার, মিম্বার এগুলোর মাধ্যমে ইসলামের শা’য়ায়িরসমূহও ফুটে

     ‘উন্নত কৃষি’ ইসলামী সভ্যতার অনন্য উপহার

কৃষিতে অসামান্য উন্নয়নের মাধ্যমে হোক কিংবা আরবীতে লেখা কৃষিকাজের নির্দেশনামূলক বিরাট গ্রন্থের উপর নির্ভর করেই হোক, ইসলামি কৃষি সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও সামাজিকতার ইতিহাসবিদদের নিকট ব্যাপক আগ্রহের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। Dr. Jaser Abu Safieh এর লেখা আরবী থেকে অনুদিত এ প্রবন্ধটিতে ইসলামী কৃষি ঐতিহ্যের কিছু লক্ষণীয় দিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং কৃষি কিভাবে ইসলামী সমাজ

“বাংলার অনন্য ঐতিহ্য; টাঙ্গাইলের বিখ্যাত তাঁত-শাড়ির ইতিবৃত্ত”

০১.আমাদের কাছে ঐতিহ্য বিষয়টিই যেনো জৌলুশ হারানো কোনো চরিত্র বা ইতিহাসের বেদনা বয়ে বেড়ানো কোনো ধ্বংসস্তূপ। সেটির মাঝে প্রাণ সঞ্চার করা বা পরম মমতায় লালন করে যাওয়া বা গৌরবের সঙ্গে আঁকড়ে ধরে রাখার বিষয়টি যেনো বেমানান। ফলে কতো ঐতিহ্য নিত্যক্ষয় হয়ে যায়, মানুষের চিন্তা-মনন থেকেও ধীরে ধীরে মুছে যায়, তার খবর কে রাখে!প্রাচীন আমল থেকে

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্য : পুঁথিসাহিত্য

বাংলার হাজার বছরের অগ্রযাত্রায় সঙ্গী হয়েছে তার নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্পসাহিত্য। পুঁথিসাহিত্যও তার ব্যতিক্রম নয়। সাহিত্যের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শাখা ‘পুঁথি’– আমাদের লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনবদ্য অংশবিশেষ। বলছিলাম এমন এক সময়ের কথা যখন ঝিঁঝি ডাকা সন্ধ্যায় কূপির নিভু নিভু আলোয় বাড়ির কোনো এক আঙিনায় শীতলপাটি বিছিয়ে গ্রামের সব বয়সী ও সব শ্রেণী-পেশার

খনিতে অপার সম্ভাবনা; প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

প্রাকৃতিক সম্পদ ও নান্দনিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক মসজিদ-মিনার, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র-সৈকতসহ বন-বনানী ও পাহাড়-পর্বতের নান্দনিক সব সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করেছে প্রতিনিয়ত। শুধু নৈসর্গিক সৌন্দর্যেই নয়, বরং খনিজ সম্পদের বিশাল এক প্রাচুর্যের আধার আমাদের এই দেশটি। এসবের কারণেই এদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা একেবারেই যুক্তিযুক্ত। বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকাই স্বতন্ত্র বৈশিষ্টমন্ডিত;

ভ্যাট ও সুদনির্ভর অর্থনীতি; প্রেক্ষিত বাংলাদেশ    

দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বাজেট মানে পণ্য ও সেবার দাম বাড়া-কমার খবর। তাই তাদের কাছে বাজেট বরাদ্দের চেয়ে বাজারে তার প্রভাবটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, করের হার বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত বাড়বে তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা করলে দেখবো, মোট রাজস্ব আয়ের ৫৪.৭% আসবে কর থেকে, অর্থাৎ ৩৩০০০ বিলিয়ন টাকা। এর মাঝে ভ্যাট