শিউলিমালা একাডেমি

বাংলাদেশ

“রক্তঝরা মসলা বাণিজ্য ও তার ইতিহাস”

আচ্ছা ভেবে দেখুন তো আপনি রান্না করছেন, কিন্তু আপনার কাছে কোনো মসলা নেই। আপনার রান্নায় কোনো মশলাই যুক্ত করতে পারছেন না। তাহলে কেমন হবে? কোনো স্বাদ পাবেন? তখন কি মনে হবে না যে এভাবে কি রান্না হয়!? খাওয়া যায় এগুলো!? নিপাট ভদ্রলোক সেজে আপন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কত লোক কত দেশে আসে। অতঃপর দখল নেয়, […]

আমাদের ভাষা-সমস্যা

আমরা বঙ্গদেশবাসী। আমাদের কথাবার্তার, ভয়-ভালবাসার, চিন্তা-কল্পনার ভাষা বাংলা। তাই আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। দুঃখের বিষয়, জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধের ন্যায় এই সোজা কথাটিকেও আমাদের মধ্যে এক সম্প্রদায়কে বুঝাইয়া দিলেও তাঁহারা জোর করিয়া বুঝিতে চাহেন না। তাই মাঝে-মধ্যে আমাদের মাতৃভাষা কী কিংবা কী হইবে, তাহার আলোচনা সাময়িক পত্রিকাদিতে দেখিতে পাওয়া যায়। হা! আমাদের সূক্ষ্ম বুদ্ধি! মাতৃভাষা ব্যতীত আর কোন

বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থা ও ভারতীয় বাঁধ

একাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। একসময় সেসব নদীকে ঘিরে কত গল্প-কল্পকাহিনী শোনা যেত দাদি-নানীদের মুখে! কী ছিল তার রূপ, কী ছিল তার স্রোত—কোনো এক অতীতে–বর্ষাকালে। এখন বর্ষাকালে পানি থাকলেও শীতকালে প্রায় পুরোটাই যেন ধানক্ষেত। নদীর পেটের মধ্যে সামান্য এক ধার ঘেঁষে মৃদুস্রোত বয়, নৌকা চলে— যেখানে বাংলার চিরাচরিত রূপ ছিল নদীময়,

বাবা আদম মসজিদ

সুলতানি আমলের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী গায়ে জড়িয়ে বাংলার মাটিতে দীর্ঘ ৫৩৮ বছর যাবত সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে বাবা আদম মসজিদ। ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী মুন্সিগঞ্জের দরগাবাড়ীতে এই মসজিদের অবস্থান। মসজিদটির নামের সাথে জড়িয়ে আছে দীর্ঘ এক ইতিহাস। সেই ইতিহাসের মাঝে সত্যতা ও জনশ্রুতি মিলিয়ে যা পাওয়া যায় তা অনেকটা এরকম- বাবা আদম ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক। ১০৯৯ সালে

ষাট গম্বুজ মসজিদ

ভারতীয় উপমহাদেশের অনন্য স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন- মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভ গুলোর মধ্যে অন্যতম সুলতানি আমলের ‘ষাটগম্বুজ’ মসজিদ। যার অবস্থান বাগেরহাট জেলা থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে খুলনা -বাগেরহাট মহাসড়কের উত্তর পাশে সুন্দরঘোনা গ্রামে। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কে, কখন, কীভাবে নির্মাণ করেছে সে সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা পাওয়া যায় না। তবে কথিত আছে যে, চৌদ্দশ খ্রিষ্টাব্দের

চকবাজার শাহী মসজিদ

মসজিদের শহর ঢাকা৷ ঢাকার বড় বড় শহর থেকে শুরু করে অলিতে-গলিতে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ৷ ঢাকায় ঠিক কতটি মসজিদ আছে তা হিসাব করা বেশ কঠিন৷ অসংখ্য মসজিদ থাকার কারনে এটিকে মসজিদের শহর বলা হয়৷ মূলত মোঘল আমল থেকেই ঢাকায় মসজিদ তৈরির সূচনা৷ ধীরে ধীরে এটি মসজিদের শহরে পরিণত হয়৷ প্রাচীন আমলের অনেক মসজিদ বর্তমানের মসজিদের চেয়েও

আতিয়া মসজিদ

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং সুপরিচিত একটি স্থাপত্য নিদর্শন আতিয়া মসজিদ। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত পুরনো দশ টাকার নোটে ছবিযুক্ত থাকা এ মসজিদের অবস্থান টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া গ্রামে; লৌহজং নদীর পূর্বপারে। টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদে পাওয়া একটি আরবি ও একটি ফারসি শিলালিপি রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে মসজিদের নির্মাতা, সময়কাল ও

“ইসলামী সভ্যতায় কৃষি ও বর্তমান বাংলাদেশ”

রাসূল (সাঃ) মদীনায় হিজরতের পর যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা দেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন সেগুলো হলো–১. মসজিদ প্রতিষ্ঠা২. ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা৩. বাজার প্রতিষ্ঠা এক্ষেত্রে তিনি ইহুদীদের বাজার ব্যবস্থার বিপরীতে নতুন ও বিকল্প বাজার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যার মূলমন্ত্র ছিলো ‘সুদ ও শোষনের অর্থনীতির সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই’। তারই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন খোলাফায়ে রাশেদা ও পরবর্তী