শিউলিমালা একাডেমি

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ব্যক্তিত্ব

আন্দালুসিয়ার বিশিষ্ট ২৮ জন নারী ব্যক্তিত্ব

এই প্রবন্ধে উল্লেখিত আন্দালুসি নারীদের জীবনীগুলো নেওয়া হয়েছে ইবন বাশকুয়ালের ‘কিতাব আল-সিলাহ’ (মৃত্যু: ১১৮৩ খ্রি.), ইবন আল-আব্বারের ‘তাকমিলাত কিতাব আল-সিলাহ (মৃত্যু: ১২৬০ খ্রি.) এবং ইবন আল-যুবায়রের ‘কিতাব সিলাত আল-সিলাহ (মৃত্যু: ১৪০৮ খ্রি.) থেকে। এই জীবনীসমূহে আন্দালুসের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও এমন নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা নবম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে […]

বায়তুল মাকদিস বিজয়ের স্বপ্ন ও সংগ্রাম

[[প্রফেসর ডক্টর আব্দুল ফাত্তাহ আল-ওয়াইসি একজন প্রখ্যাত চিন্তাবিদ, গবেষক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ। তিনি একইসাথে ইসলামের ইতিহাস, ভূরাজনীতি ও বাইতুল মাকদিস বিষয়ক গবেষণায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে, ‘বারাকা সার্কেল থিওরি’ এবং ‘আমান থিওরি’র মতো গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক ধারণা প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে ভূরাজনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাইতুল মাকদিস ফাউন্ডেশনের

ইসলামী সভ্যতায় নারীদের স্বরূপ ও ভূমিকা

মানুষকে কোন দৃষ্টিতে, কোন আঙ্গিকে বা কোন দর্শন দিয়ে বিচার করা হয়, সে বিষয়টা বরাবরই ইসলামের অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক, উভয়ক্ষেত্রেই আলাপ-আলোচনা ও পর্যালোচনার মৌলিক একটি বিষয় ছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রসঙ্গত আলোচনায় আসত নারী-পুরুষের জীবনধারণের পদ্ধতি, সামাজিক অবস্থান, কর্মক্ষেত্র ও পৃথিবীতে আল্লাহর একজন প্রতিনিধি হিসেবে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য নিয়ে। আর প্রতিবারই ইসলাম এ’বিষয়গুলোর যৌক্তিক পর্যালোচনা করার পাশাপাশি বিরোধীদের

শোষণ ও সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়ন – অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত

এক. একটা সময় ছিল যখন মানবজীবনের সমস্যাগুলো শুধুমাত্র পরিবার, গোত্র বা সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, অথবা এভাবেও বলতে পারি, অতীতে মানবজীবনে যে সব সমস্যা উদ্ভুত হতো সেগুলো শুধুমাত্র ব্যক্তি, পরিবার, গোত্র কিংবা সমাজের সাথে সম্পর্কিত ছিল। আর সে সকল সমস্যা সমাধান করার জন্য তাদেরকে এসব (ব্যক্তি, পরিবার, গোত্র বা সমাজ) ক্ষেত্রের বাইরে চিন্তা করতে হতো

“হারিয়ে যাওয়া মক্তব ও তার ইতিহাস “

উপমহাদেশে মক্তব শিক্ষা শুরু যেভাবে: আলিফ যবর- আ। বা যবর- বা। তা যবর- তা। অসংখ্য মক্তবে পাখির মতো নিষ্পাপ শিশুদের কুজন-কলরবে মুখরিত এ সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের প্রতিটি রোদরাঙা শিশির ভেজা সকাল। ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা টুপি পড়ে ওড়না জড়িয়ে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে দল বেঁধে ছুটে চলে পাড়ার মসজিদের দিকে। মসজিদের ভেতরে বা চত্বরে ইমাম

   ইসলামের ইতিহাসে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী মুসলিম নারীগণ 

আমরা সকলেই কমবেশি এ’কথার সাথে অভ্যস্ত যে, ইসলামী সভ্যতায় চিকিৎসাশাস্ত্রের ইতিহাসে মুসলিম নারীদের অবদান খুব একটা নেই বললেই চলে। এমনকি অনেকেই মনে করেন, এই অঙ্গনে নারীদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে ইসলামী সভ্যতার স্বর্ণালী ইতিহাসে বৈশ্বিক ও ধর্মীয় যেকোনো ক্ষেত্রে মুসলিম নারীদের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো, তেমন-ই স্বাস্থ্যখাতেও তাদের অবদান ছিলো অপরিসীম, যা

‘ইসলাম ও ভাববাদ’

‘মুহম্মদ কুতুব‘ অধ্যাপক আব্দুল গফুর অনূদিত ইসলাম ও কমিউনিজম আমরা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছি–ইসলাম জীবনে যা কিছু মহৎ, সুস্থ ও বাঞ্ছিত তাকেই সমর্থন করে। এটা সর্বকালের, সব মানুষের ও সব সমাজের ধর্ম। তবে যেহেতু গত চারশ’ বছর ধরে মুসলিম বিশ্ব বিপর্যয়ের মধ্যে ছিল তাই ইসলামী বিধানের যে অংশ অর্থনৈতিক সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত তার কোন রূপায়ণ হয়নি। এমতাবস্থায়

‘নবাব ফয়জুন্নেসা জামে মসজিদ’

ইসলামী সভ্যতার স্থাপনাসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মসজিদ। বিশ্বের যে প্রান্তেই মুসলমানরা গিয়েছে, সেখানেই তারা নামাজ ও সামাজিক যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে মসজিদ নির্মাণ করেছে। অধিকাংশ মসজিদই তৈরি হয়েছে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং সে সময়ের স্থাপত্যশৈলীর উপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি ইসলামী সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্যসমূহও এসব স্থাপনার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। মসজিদের মিনার, মিম্বার এগুলোর মাধ্যমে ইসলামের শা’য়ায়িরসমূহও ফুটে

     ‘উন্নত কৃষি’ ইসলামী সভ্যতার অনন্য উপহার

কৃষিতে অসামান্য উন্নয়নের মাধ্যমে হোক কিংবা আরবীতে লেখা কৃষিকাজের নির্দেশনামূলক বিরাট গ্রন্থের উপর নির্ভর করেই হোক, ইসলামি কৃষি সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও সামাজিকতার ইতিহাসবিদদের নিকট ব্যাপক আগ্রহের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। Dr. Jaser Abu Safieh এর লেখা আরবী থেকে অনুদিত এ প্রবন্ধটিতে ইসলামী কৃষি ঐতিহ্যের কিছু লক্ষণীয় দিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং কৃষি কিভাবে ইসলামী সমাজ

ভারতবর্ষের তরুণ সম্প্রদায়

[ভারতবর্ষের তরুণ সম্প্রদায়ের সকরুণ, মর্মস্পর্শী কান্না কখনই পূর্ণভাবে শোনা হয় নি। মোহাম্মদ আলী এখানে এক সাধারণ তরুণ ভারতীয়ের অন্তরতম আবেগকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।] নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে নবীন ভারতবর্ষের কথা বর্তমানে দ্রুত উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু এখনো তা আত্মপ্রকাশের কৌশল আয়ত্ত করতে পারেনি। জীবনের যে পুরাতন নকশা পূর্বপুরুষদের বিশ্বাসের শেকড় ও উদ্দেশ্যকে পুষ্ট