শিউলিমালা একাডেমি

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ব্যক্তিত্ব

“বাংলার অনন্য ঐতিহ্য; টাঙ্গাইলের বিখ্যাত তাঁত-শাড়ির ইতিবৃত্ত”

০১.আমাদের কাছে ঐতিহ্য বিষয়টিই যেনো জৌলুশ হারানো কোনো চরিত্র বা ইতিহাসের বেদনা বয়ে বেড়ানো কোনো ধ্বংসস্তূপ। সেটির মাঝে প্রাণ সঞ্চার করা বা পরম মমতায় লালন করে যাওয়া বা গৌরবের সঙ্গে আঁকড়ে ধরে রাখার বিষয়টি যেনো বেমানান। ফলে কতো ঐতিহ্য নিত্যক্ষয় হয়ে যায়, মানুষের চিন্তা-মনন থেকেও ধীরে ধীরে মুছে যায়, তার খবর কে রাখে!প্রাচীন আমল থেকে […]

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্য : পুঁথিসাহিত্য

বাংলার হাজার বছরের অগ্রযাত্রায় সঙ্গী হয়েছে তার নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্পসাহিত্য। পুঁথিসাহিত্যও তার ব্যতিক্রম নয়। সাহিত্যের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শাখা ‘পুঁথি’– আমাদের লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনবদ্য অংশবিশেষ। বলছিলাম এমন এক সময়ের কথা যখন ঝিঁঝি ডাকা সন্ধ্যায় কূপির নিভু নিভু আলোয় বাড়ির কোনো এক আঙিনায় শীতলপাটি বিছিয়ে গ্রামের সব বয়সী ও সব শ্রেণী-পেশার

ভারতবর্ষের জাতীয় মুসলিম শিক্ষা

আলীগড়ের মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর অসন্তুষ্ট মোহাম্মদ আলী ১৯২১ সালে জা’মিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া নামে একটি জাতীয় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারিতে কমরেড পত্রিকায় প্রকাশিত এ দু’টি প্রবন্ধে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। জাতীয় মুসলিম শিক্ষা সূচনালগ্ন থেকেই কমরেড পত্রিকা মুসলমানদের শিক্ষা সম্পর্কে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিল এবং বস্তুত,

আল্লামা ইকবাল : চিরস্মরণীয় এক শাহীনের আখ্যান

একদিন এক লোক স্বপ্নে দেখলেন, একটা অসম্ভব সুন্দর আকাশচারী কবুতর তার কোলে এসে পড়লো। পরে তিনি স্বপ্ন বিশারদদের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, অদূর ভবিষ্যতে তিনি একজন ভাগ্যবান পুত্রের বাবা হতে যাচ্ছেন। লোকটি খুব বেশি শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না, কিন্তু তার পান্ডিত্যের কারণে শামসুল উলামা সৈয়দ মীর হাসান তাঁকে “অশিক্ষিত দার্শনিক” উপাধি দিয়েছিলেন। পুত্রের জন্মের পরপরই

সামাজিক গঠনের মজবুতিকরণ

ইসলামী সভ্যতার মৌলিক ভিত্তি হলো সমাজ। আমাদের সমাজ যত বেশি শক্তিশালী হবে, আমাদের ভিত এবং সভ্যতাও ততো বেশি শক্তিশালী হবে। শক্তিশালী হওয়া বলতে শুধুমাত্র বাহ্যিক বা বস্তুগত দিক থেকে শক্তিশালী হওয়া নয়; বরং আধ্যাত্মিক দিক থেকেও শক্তিশালী হওয়াকে বুঝায়। আখলাকসম্পন্ন একটি সমাজ গঠন এবং আমাদের সামাজিক গঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় প্রয়োজন সেগুলো

ইবনে খালদুন ও তার রাষ্ট্র সমাজভাবনা

আরবের বিখ্যাত দার্শনিক ইবনে খালদুনকে বলা হয় সমাজবিজ্ঞানের অনানুষ্ঠানিক জনক। পাশ্চাত্যে যখন সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসতত্ত্বের সূচনা হয়নি, এর আগেই তিনি তাঁর লেখনীতে এ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। খালদুনের পুরো নাম ওয়ালি উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ। তিনি তিউনিসে আরব বংশোদ্ভূত আন্দালুসিয়ান এক অভিজাত পরিবারে ১৩৩২ সালের ২৭ মে (৭৩২ হিজরির পহেলা রমজান) জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠা

ইতিহাসের বহমান ধারায় মুসলিম নারীদের সামাজিক জীবন

সৃষ্টির প্রথম মানবযুগল আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) থেকে শুরু করে যুগে যুগে নারীকে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে সুমহান বার্তা, খিলাফত ও ইমারতের দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়কে আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদায় আসীন করেছে যে ইলাহী নূর, তার নাম ইসলাম। ইসলামে মর্যাদার দিক দিয়ে পুরুষের থেকে একজন নারীকে কখনোই ভিন্ন করে দেখা হয়নি। বরং নারীকে

“রক্তঝরা মসলা বাণিজ্য ও তার ইতিহাস”

আচ্ছা ভেবে দেখুন তো আপনি রান্না করছেন, কিন্তু আপনার কাছে কোনো মসলা নেই। আপনার রান্নায় কোনো মশলাই যুক্ত করতে পারছেন না। তাহলে কেমন হবে? কোনো স্বাদ পাবেন? তখন কি মনে হবে না যে এভাবে কি রান্না হয়!? খাওয়া যায় এগুলো!? নিপাট ভদ্রলোক সেজে আপন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কত লোক কত দেশে আসে। অতঃপর দখল নেয়,

হযরত আয়েশা (রা.) এর ইলমী হায়াত

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। সালাম এবং দরূদ মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ (সা.) -এর প্রতি। এই প্রবন্ধে আমি কেবল উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (রা.)-এর গতানুগতিক জীবনচরিত নিয়ে নয়, বরং তাঁর জ্ঞানগত যে জীবনী, তিনি কীভাবে জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং এজন্য কীভাবে তাঁর জীবনকে অতিবাহিত করেছেন, সেসব নিয়ে আলোকপাত করব। আয়েশা (রা.) পিতা আবু বকর (রা.) এর ঔরসে এবং

সভ্যতার প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী

আসসালামু আলাইকুম আজ আমি আপনাদের সাথে এখানে একত্রিত হতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। আপনাদেরকে পবিত্র জুমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং বরকতময় জুমার দিন কামনা করছি। পাশাপাশি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি রমজানের। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদের রমজান মাস এবং ঈদে বরকত দান করুন। আজ আমি এখানে আমন্ত্রিত হয়েছি ‘সভ্যতার প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী’ নিয়ে কথা বলার জন্য। আমি এমন একটি