শিউলিমালা একাডেমি

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ব্যক্তিত্ব

বাবা আদম মসজিদ

সুলতানি আমলের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী গায়ে জড়িয়ে বাংলার মাটিতে দীর্ঘ ৫৩৮ বছর যাবত সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে বাবা আদম মসজিদ। ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী মুন্সিগঞ্জের দরগাবাড়ীতে এই মসজিদের অবস্থান। মসজিদটির নামের সাথে জড়িয়ে আছে দীর্ঘ এক ইতিহাস। সেই ইতিহাসের মাঝে সত্যতা ও জনশ্রুতি মিলিয়ে যা পাওয়া যায় তা অনেকটা এরকম- বাবা আদম ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক সাধক। ১০৯৯ সালে […]

বুলন্দ দরওয়াজা

বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রবেশদ্বার এবং ভারতের অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নাম বুলন্দ দরওয়াজা। মুঘল সম্রাট আকবর গুজরাট বিজয় অভিযান স্মরণীয় করে রাখতে ১৬০১ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ফতেহপুর সিকরিতে এটি অবস্থিত। আগ্রা থেকে ৪৩ কিমি দূরে অবস্থিত ফতেপুর সিক্রি মহলের প্রবেশের এটিই মূল দ্বার। বুলন্দ দরওয়াজা মুঘল স্থাপত্যের একটি বিস্ময়কর উদাহরণ। এটি লাল

ষাট গম্বুজ মসজিদ

ভারতীয় উপমহাদেশের অনন্য স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন- মুসলিম স্মৃতিস্তম্ভ গুলোর মধ্যে অন্যতম সুলতানি আমলের ‘ষাটগম্বুজ’ মসজিদ। যার অবস্থান বাগেরহাট জেলা থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে খুলনা -বাগেরহাট মহাসড়কের উত্তর পাশে সুন্দরঘোনা গ্রামে। মসজিদটির গায়ে কোনো শিলালিপি না থাকায় এটি কে, কখন, কীভাবে নির্মাণ করেছে সে সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা পাওয়া যায় না। তবে কথিত আছে যে, চৌদ্দশ খ্রিষ্টাব্দের

সেলিমা সুলতানা বেগম: যুগের খাদিজা

তেজহীন রোদেলা দুপুর। চারপাশে ভাতঘুমের নিরবতা। বাগানের শেষ মাথায় কিছু কোকিল পাখি ক্লান্তিহীন ভাবে ডেকে যাচ্ছে। দখিনা মৃদু হাওয়ায়, জানালার পর্দা খানিকটা সরে গেল। মিষ্টি রোদ এসে পড়লো গুলরুখ বেগমের মুখে। তেজহীন এই রোদ গুলরুখ বেগমের কাছে বড় আরামের। আলতো হাতে পর্দাটা সরিয়ে মুখ বাড়ালেন বাইরে। সময়টা ১৫৩৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী। শীত শেষে বসন্তের ছোঁয়া

সভ্যতার ঝাণ্ডা বুলন্দকারী বীর মহান সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগীর

ইতিহাস বৃক্ষের শিকড়ের মতো। যে জাতির ইতিহাস যত প্রাচীন, সে জাতি তত বেশি সমৃদ্ধ। এদিক থেকে বিচার করলে ভারতবর্ষের অধিবাসীরা নিঃসন্দেহে সমৃদ্ধ জাতি। ১৫২৬ থেকে ১৭০৭ সাল পর্যন্ত স্থায়ী মুঘল শাসনামল এক সোনালী ইতিহাসের সোনালী শৃঙ্খল, গৌরবময় ইতিহাসের আরেকটি যুগ। এ যুগের শাসকদের মধ্যে একজন হলেন অসামান্য বীরত্ব, সাহসিকতা ও উচ্চ মননশীল হৃদয়ের অধিকারী সুলতান

বড় কাটরা

ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশ শোষণ পরবর্তী সময়ে এসে ইসলামী সভ্যতার ৭০০ বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন খুঁজতে গেলে আমাদের হতাশ হতে হয়। ২০০ বছর শোষণের ফলশ্রুতিতে ইসলামী সভ্যতার কোন চিহ্নই আমরা খুঁজে পাইনা। বাংলা অঞ্চলে ইসলামী সভ্যতার ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে কেবল কিছু স্থাপত্য টিকে আছে। এর মধ্যে বড় কাটরা অন্যতম। মুঘল আমলে নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যকীর্তির মধ্যে বড়

চকবাজার শাহী মসজিদ

মসজিদের শহর ঢাকা৷ ঢাকার বড় বড় শহর থেকে শুরু করে অলিতে-গলিতে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ৷ ঢাকায় ঠিক কতটি মসজিদ আছে তা হিসাব করা বেশ কঠিন৷ অসংখ্য মসজিদ থাকার কারনে এটিকে মসজিদের শহর বলা হয়৷ মূলত মোঘল আমল থেকেই ঢাকায় মসজিদ তৈরির সূচনা৷ ধীরে ধীরে এটি মসজিদের শহরে পরিণত হয়৷ প্রাচীন আমলের অনেক মসজিদ বর্তমানের মসজিদের চেয়েও

‘খেরুয়া মসজিদ’

খেরুয়া মসজিদ বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মসজিদটি সুলতানী যুগের শেষে, বাংলায় মোঘল শাসনের সূচনালগ্নে বারো ভূঁইয়া এবং বাংলায় অবস্থানরত আফগান প্রধানদের মোঘল বিরোধী বিদ্রোহ চলাকালীন সময়ে নির্মিত। মোঘল-পূর্ব সুলতানী আমলের স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে মোঘল স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে।প্রায় ৪৩৫ বছর ধরে টিকে থাকা এই মসজিদটি বগুড়া শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে শেরপুর উপজেলা

হিসার-ই-ফিরুজা

হিসার-ই-ফিরুজা নামে পরিচিত, দিল্লী সালতানাতের এক অন্যতম আকর্ষণীয় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সাক্ষী ফিরোজ শাহ প্যালেস কমপ্লেক্স। ভারতের হরিয়ানার হিসারে অবস্থিত কমপ্লেক্সটি দিল্লীর তুঘলক রাজবংশের শাসক ফিরোজ শাহ তুঘলক ১৩৫৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেছিলেন। প্রাসাদ কমপ্লেক্সে “লাট কি মাসজিদ” এবং একটি অশোকের স্তম্ভ রয়েছে। এর খুব নিকটে রয়েছে আরেকটি প্রাসাদ “গুজরি মহল”। গুজরি মহল হলো প্রাসাদ কমপ্লেক্সের কাছে

আতিয়া মসজিদ

বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং সুপরিচিত একটি স্থাপত্য নিদর্শন আতিয়া মসজিদ। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত পুরনো দশ টাকার নোটে ছবিযুক্ত থাকা এ মসজিদের অবস্থান টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার আতিয়া গ্রামে; লৌহজং নদীর পূর্বপারে। টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদে পাওয়া একটি আরবি ও একটি ফারসি শিলালিপি রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে মসজিদের নির্মাতা, সময়কাল ও