শিউলিমালা একাডেমি

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ব্যক্তিত্ব

কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় ও একজন স্বপ্নদ্রষ্টা ফাতিমা আল ফিহরি

পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় (পূর্বের কারাউইন মসজিদ)। ইতিহাসের অপব্যাখ্যায় মলিন, ইউরোপীয় রেনেসাঁর প্রকৃত উৎস; বাগদাদ, আন্দালুস, কায়রোর ‘মধ্যযুগ’ এর মুসলিম সভ্যতার অনন্য সংযোজন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গোড়াপত্তনের ইতিহাসের সাথে মিশে আছে এক নারীর নাম। ফাতিমা আল ফিহরি! বর্তমান তিউনিসিয়ার কায়রোয়ান শহরে জন্মগ্রহণকারী এই মুসলিম নারী কর্তৃক ৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে মরক্কোর ফেজ এ প্রতিষ্ঠিত কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ই […]

বি আম্মা: ভারতীয় মুসলিম নারীদের এক পথিকৃৎ

আবাদি বানু বেগম, একজন মুসলিম নারী, যিনি এই উপমহাদেশের সচেতন নারীদের বিশেষত, মুসলিম নারীদের জন্য এক উজ্জ্বল উপমা। তিনি এমন একজন নারী, যিনি ছিলেন খেলাফত আন্দোলন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন নেত্রী। যদিও, আরও অনেক ব্রিটিশ বিরোধী মুসলিম মহানায়কদের মতো তার ইতিহাসও আমাদের থেকে আড়ালেই রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নারীকর্মী হিসেবে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এ

“লাল কেল্লা”

ইতিহাস ও অনিন্দ্যসুন্দর স্থাপত্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন রেড ফোর্ট বা লালকেল্লা। খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘল সম্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত এ দুর্গটি ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের রাজধানী। পুরনো দিল্লির যমুনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই দুর্গটি মুঘল স্থাপত্য এবং চিত্রকলার উৎকর্ষতার এক অনন্য উদাহরণ। বৈচিত্র্যময় অলংকরণ আর বর্ণময় শৈল্পিক ব্যঞ্জনা কেল্লাটিকে দিয়েছে এক

নাসির-উল-মুলক মসজিদ : রঙের এক অপূর্ব সমন্বয়

দক্ষিণ ইরানের সর্বাধিক সুন্দর স্থাপত্যের এক অনুপম নমুনা নাসির-উল-মুলক মসজিদ। এর প্রতিটি কোণ, প্রতিটি অংশ যেন শিল্পীর নিখুঁত আচড়ে আঁকা! ইরানের ঐতিহ্যবাহী শহর শিরাজের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থাপনা এটি। দাগকাটা কাচের জানালার জন্য সৃষ্ট রঙিন আলোর কারণেই মসজিদটি সবার কাছে এত সমাদৃত। দক্ষিণ ইরানের সবচেয়ে সুন্দর শহরের একটি হলো ‘শিরাজ’। অসংখ্য পর্যটক প্রতিবছর এখানে বেড়াতে আসেন।

“ইসলামে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও ক্ষমতায়ন”

সমাজে নারীর অবস্থান ও অধিকার নিয়ে আমরা বিভিন্ন কথা শুনে থাকি। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বর্তমানে যে কথাগুলো বলা হয়, তার মধ্যে বেশ কিছু গ্রহণযোগ্য, আবার কিছু কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ আছে। নারী-পুরুষ সবারই অধিকার প্রতিষ্ঠা হওয়া অপরিহার্য, কারণ সমাজ দিনে দিনে সামনে এগোচ্ছে। শুধু নারী বা পুরুষেরই নয়, সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত

ইকবালের কাব্যে নারী : “তোমার মর্যাদার জন্য মাতৃত্বই যথেষ্ট”

-ড. শামস তিবরীয খান  আধুনিককালে সম্ভবত হালী ও ইকবালই এমন দুই কবি, যাদের কাব্য যৌনতা, অশ্লীলতা ও লক্ষ্যভ্রষ্টতা-মুক্ত। শুধু তাই নয়, নারীর মর্যাদা ও সামাজিক অবস্থান বহাল করার ক্ষেত্রেও এ দুই কবির অবদান অনস্বীকার্য। ইকবালের দৃষ্টিতে বর্তমানের নারীসমাজের জন্যও ইসলামের প্রথম যুগের নারীগণই আদর্শ, যাঁরা ছিলেন লজ্জাশীলতা ও চারিত্রিক পবিত্রতায় আজকের চেয়ে অনেক অগ্রসর এবং