শিউলিমালা একাডেমি

সাহিত্য ও সংস্কৃতি

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্য : পুঁথিসাহিত্য

বাংলার হাজার বছরের অগ্রযাত্রায় সঙ্গী হয়েছে তার নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্পসাহিত্য। পুঁথিসাহিত্যও তার ব্যতিক্রম নয়। সাহিত্যের প্রাচীন ও সমৃদ্ধ শাখা ‘পুঁথি’– আমাদের লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অনবদ্য অংশবিশেষ। বলছিলাম এমন এক সময়ের কথা যখন ঝিঁঝি ডাকা সন্ধ্যায় কূপির নিভু নিভু আলোয় বাড়ির কোনো এক আঙিনায় শীতলপাটি বিছিয়ে গ্রামের সব বয়সী ও সব শ্রেণী-পেশার […]

ভারতবর্ষের জাতীয় মুসলিম শিক্ষা

আলীগড়ের মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর অসন্তুষ্ট মোহাম্মদ আলী ১৯২১ সালে জা’মিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া নামে একটি জাতীয় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৬ সালের ২৩ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারিতে কমরেড পত্রিকায় প্রকাশিত এ দু’টি প্রবন্ধে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোকপাত করেন। জাতীয় মুসলিম শিক্ষা সূচনালগ্ন থেকেই কমরেড পত্রিকা মুসলমানদের শিক্ষা সম্পর্কে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিল এবং বস্তুত,

পাশ্চাত্যের দুর্বল সংস্কৃতি ও তথাকথিত আধুনিকতা এবং আমাদের বিপর্যয়

আধুনিকতার সংজ্ঞা আসলে কী? সত্যিকারের আধুনিকতা হলো, মানবতার কল্যাণে যুগোপযোগী জ্ঞান ও চিন্তাকে হাজির করা এবং সেগুলোকে সভ্যতার অগ্রগতিতে যথাযথভাবে কাজে লাগানো। কিন্তু আধুনিকতার ধারণাকে আজকে আমরা সম্পূর্ণ গুলিয়ে ফেলেছি। আজকে আমাদের কাছে আধুনিকতা মানে নিজেদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয় ভুলে গিয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্তঃসারশূন্য ‘কালচার’কে গ্রহণ করা; যেগুলো আমাদের মাতৃভূমির মাটি ও মানুষের সাথে

মাহে রমজানের তাৎপর্য ও আমাদের করণীয়

বছরের বারোটি মাসের মাঝে গোটা একটি মাস রোজা পালন করা আল্লাহ তায়া’লা ফরজ করে দিয়েছেন তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যাতে তোমরা তাকওয়াবান হতে পারো”। রোজা শুধুমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই নয়, বরং মানব-শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ

ইসলামী সংস্কৃতির মর্মকথা

জনাব মোহাম্মদ মার্মেডিউক পিকথলের জন্য ১৮৭৫ খৃষ্টাব্দে, ইংল্যান্ডের এক সম্ভ্রান্ত খৃষ্টান পরিবারে। বাল্যে ছ্যারো’তে এবং পরে ইউরোপের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ সমাপ্ত করে জনাব পিকথল ৩ বৎসর কাল নিকট-প্রাচ্যের কতিপয় দেশে অবস্থান করেন। এ সময়েই তিনি ইসলামী জীবন-বিধানের মাহাত্মো আকৃষ্ট হন। লেবানন পর্বতের দ্রুজ অঞ্চলেও তিনি এক বৎসরকাল অতিবাহিত করেন। ১৯২০ থেকে ১৯২৪ সাল

“বাঙ্গালা সাহিত্য ও বাঙ্গালী মুসলমান”

বাঙ্গালা ভাষার চর্চা আমাদের ভবিষ্যৎ মঙ্গলের জন্য অপরিহার্য। তবে মাতৃভাষা আমাদের হাতে কি রূপ পরিগ্রহণ করবে তা নিয়ে মতভেদ দেখতে পাওয়া যায়। এ সমস্যার সমাধান “আমরা বাঙ্গালী মুসলমান” এই কথাটুকুর মধ্যেই রয়েছে। কোটি কোটি মানুষের স্বাভাবিক ভাষা যদি একটা সাহিত্যের বাহন না হয়, তা হলে কোন ভাষা যে, সে গৌরবের অধিকারী তা বলতে পারি না।

“তোমাকেই বলছি, হে আমার কুদস”

তোমার ক্লান্ত চোখ আমায় ঘুমোতে দেয় না,তোমার বিষণ্ণ রোদমাখা মিনারগুলো ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তোলে নিউরনে, সৃষ্টি হয় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণকারী বর্ণমালা।পরিযায়ী কবুতরেরা যখন ফিরে যায় তোমার প্রাঙ্গণ থেকে, আর এক মুঠো শান্তির জন্য হাহাকার করে উঠে তোমার পথ-প্রান্তর,আমি আধ-ঘুম ভেঙ্গে চিৎকার করে বলে উঠি, “ইন্তিফাদা!” হে কুদস! আমার শহর!রৌদ্রছায়ার মরুদ্যানের নগরী!শত রাসূলের পদধূলি জড়ানো পথের ঘুমহীন প্রহরী!হে আমার

পথশিশু

‘পথশিশু’, যাদের থাকার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই, যাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব কারো উপর নেই এবং যারা অভিভাবকহীন।রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। এ সংখ্যা অতিরিক্ত মনে হতে পারে, তবে কোনো সন্দেহ নেই যে, পথশিশুর সংখ্যা সারা দেশে অন্তত ১২/১৩ লাখ এবং এর ৭৫-৮০ শতাংশই ঢাকায়। পথশিশুরা সবার আগে আবাসন থেকে বঞ্চিত। তাদের থাকার বা

“আত্মকথা”

আমি কি একটু বেশিই উচ্চাভিলাষী?জানি না!‘উচ্চাভিলাষী’ বলছি, কারণ আমি যে ‘কনজার্ভেটিভ মুসলিম বাঙ্গালী পরিবার’ এর মেয়ে! এ পরিবার, এ পরিবেশ নানাবিধ কঠোরতায় আবৃত। নিজের ছোটখাটো ইচ্ছেগুলোর কথা প্রকাশ করতেও এখানে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়! নানা রকম কৌশল, ছলচাতুরিসহ সোজা বাংলায় বললে যাবতীয় দুই নম্বর পন্থা অবলম্বন করে একটু করুণার দৃষ্টিতে পড়লেই হয়তো তার কিছুটা আদায়