শিউলিমালা একাডেমি

চিন্তা ও দর্শন

‘সমকালীন সংকট, বিশ্বব্যবস্থা ও বাংলাদেশ; আমাদের মুক্তির ভাবনা’

 দক্ষিণ এশিয়ার পলল ভূমি খ্যাত- ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের ক্ষুদ্র একটি দেশ, সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা দেশটির নাম- বাংলাদেশ। ছোট্ট অথচ প্রাকৃতিক প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ এ ভূখণ্ডে জনসংখ্যা প্রায় বিশ কোটি! বিগত কয়েক দশক ধরে অঘোষিতভাবে এদেশের অপর নাম যেনো হয়ে গিয়েছে সংকট! সংকট নিয়ে চিন্তা করতে গেলে মানুষের মাথায় যে সকল সাধারণ প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সেগুলো […]

‘ইসলাম ও ভাববাদ’

‘মুহম্মদ কুতুব‘ অধ্যাপক আব্দুল গফুর অনূদিত ইসলাম ও কমিউনিজম আমরা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছি–ইসলাম জীবনে যা কিছু মহৎ, সুস্থ ও বাঞ্ছিত তাকেই সমর্থন করে। এটা সর্বকালের, সব মানুষের ও সব সমাজের ধর্ম। তবে যেহেতু গত চারশ’ বছর ধরে মুসলিম বিশ্ব বিপর্যয়ের মধ্যে ছিল তাই ইসলামী বিধানের যে অংশ অর্থনৈতিক সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত তার কোন রূপায়ণ হয়নি। এমতাবস্থায়

     ‘উন্নত কৃষি’ ইসলামী সভ্যতার অনন্য উপহার

কৃষিতে অসামান্য উন্নয়নের মাধ্যমে হোক কিংবা আরবীতে লেখা কৃষিকাজের নির্দেশনামূলক বিরাট গ্রন্থের উপর নির্ভর করেই হোক, ইসলামি কৃষি সাম্প্রতিককালে বিজ্ঞান, অর্থনীতি ও সামাজিকতার ইতিহাসবিদদের নিকট ব্যাপক আগ্রহের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। Dr. Jaser Abu Safieh এর লেখা আরবী থেকে অনুদিত এ প্রবন্ধটিতে ইসলামী কৃষি ঐতিহ্যের কিছু লক্ষণীয় দিক ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং কৃষি কিভাবে ইসলামী সমাজ

ভারতবর্ষের তরুণ সম্প্রদায়

[ভারতবর্ষের তরুণ সম্প্রদায়ের সকরুণ, মর্মস্পর্শী কান্না কখনই পূর্ণভাবে শোনা হয় নি। মোহাম্মদ আলী এখানে এক সাধারণ তরুণ ভারতীয়ের অন্তরতম আবেগকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।] নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে নবীন ভারতবর্ষের কথা বর্তমানে দ্রুত উচ্চারিত হচ্ছে। কিন্তু এখনো তা আত্মপ্রকাশের কৌশল আয়ত্ত করতে পারেনি। জীবনের যে পুরাতন নকশা পূর্বপুরুষদের বিশ্বাসের শেকড় ও উদ্দেশ্যকে পুষ্ট

আল্লামা ইকবাল : চিরস্মরণীয় এক শাহীনের আখ্যান

একদিন এক লোক স্বপ্নে দেখলেন, একটা অসম্ভব সুন্দর আকাশচারী কবুতর তার কোলে এসে পড়লো। পরে তিনি স্বপ্ন বিশারদদের কাছে গিয়ে জানতে পারেন, অদূর ভবিষ্যতে তিনি একজন ভাগ্যবান পুত্রের বাবা হতে যাচ্ছেন। লোকটি খুব বেশি শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না, কিন্তু তার পান্ডিত্যের কারণে শামসুল উলামা সৈয়দ মীর হাসান তাঁকে “অশিক্ষিত দার্শনিক” উপাধি দিয়েছিলেন। পুত্রের জন্মের পরপরই

ইসলামে শায়া’য়ির এবং এর গুরুত্ব

  ইসলামে শায়া’য়ির  এ পৃথিবীর সকল বস্তুরই একটি নাম ও নিদর্শন রয়েছে এবং এ নাম ও নিদর্শনের মধ্যে নিবিড় সম্পর্কও রয়েছে; যা তার পরিচয় বহন করে। সৃষ্টিকর্তার বহু নিদর্শন দুনিয়ায় বিদ্যমান। তেমনিভাবে এ সকল সৃষ্টির নিদর্শনের মধ্যেই তাঁর পরিচয়ের চিহ্ন পাওয়া যায়। ইসলামে শায়া’য়ির হলো আমাদের মুসলিম সত্তা ও পরিচয়কে জাগ্রত রাখা এবং সেই পরিচয়ের

উসূলশাস্ত্রের গুরুত্ব এবং হাল আমলে উসূলের প্রয়োজনীয়তা

জ্ঞানের প্রতিটি শাখাকে ধারাবাহিকতা দানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো উসূল। এই উসূলের সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। তবে আমাদের পরিচিত উসূলের সাথে মূল উসূলের তফাৎ অনেক। সাধারণত, উসূলকে আমরা দ্বীনি জ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে জেনে থাকি এবং ফিকহ সম্পর্কিত বিষয়গুলোর সাথে সম্পৃক্ত রেখে তাকে পাঠ করে থাকি। প্রশ্ন হলো, উসূল কি শুধু সামান্য জানাশোনা জ্ঞানার্জনের মধ্যেই

সামাজিক গঠনের মজবুতিকরণ

ইসলামী সভ্যতার মৌলিক ভিত্তি হলো সমাজ। আমাদের সমাজ যত বেশি শক্তিশালী হবে, আমাদের ভিত এবং সভ্যতাও ততো বেশি শক্তিশালী হবে। শক্তিশালী হওয়া বলতে শুধুমাত্র বাহ্যিক বা বস্তুগত দিক থেকে শক্তিশালী হওয়া নয়; বরং আধ্যাত্মিক দিক থেকেও শক্তিশালী হওয়াকে বুঝায়। আখলাকসম্পন্ন একটি সমাজ গঠন এবং আমাদের সামাজিক গঠনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় প্রয়োজন সেগুলো

ইবনে খালদুন ও তার রাষ্ট্র সমাজভাবনা

আরবের বিখ্যাত দার্শনিক ইবনে খালদুনকে বলা হয় সমাজবিজ্ঞানের অনানুষ্ঠানিক জনক। পাশ্চাত্যে যখন সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসতত্ত্বের সূচনা হয়নি, এর আগেই তিনি তাঁর লেখনীতে এ বিষয়ের অবতারণা করেছেন। খালদুনের পুরো নাম ওয়ালি উদ্দিন আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ। তিনি তিউনিসে আরব বংশোদ্ভূত আন্দালুসিয়ান এক অভিজাত পরিবারে ১৩৩২ সালের ২৭ মে (৭৩২ হিজরির পহেলা রমজান) জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে ওঠা

ইতিহাসের বহমান ধারায় মুসলিম নারীদের সামাজিক জীবন

সৃষ্টির প্রথম মানবযুগল আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) থেকে শুরু করে যুগে যুগে নারীকে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে যে সুমহান বার্তা, খিলাফত ও ইমারতের দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে নারী-পুরুষ উভয়কে আশরাফুল মাখলুকাতের মর্যাদায় আসীন করেছে যে ইলাহী নূর, তার নাম ইসলাম। ইসলামে মর্যাদার দিক দিয়ে পুরুষের থেকে একজন নারীকে কখনোই ভিন্ন করে দেখা হয়নি। বরং নারীকে